ঢাকা থেকে কাশ্মীর প্লেন ভাড়া কত?

যেখানে ঢাকা টু কাশ্মীরের শ্রীনগরে রাউন্ড ওয়েতে এয়ার টিকেটের দাম পড়ছে সাধারণত ৪৮ থেকে ৫০ হাজার টাকা। সেখানে ৩ হাজার টাকায় কীভাবে কাশ্মীর ভ্রমণ সম্ভব? 'ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়' ছোটবেলার বইতে পড়া এই বাক্যকে কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে এয়ার টিকিটের ভাড়ার কথাতেই আসা যাক।


পোস্ট সূচিপত্র:


  • এয়ার টিকিটের ভাড়া
  • ঢাকা টু কাশ্মীর বিমান ভাড়া কত
  • বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরের দূরত্ব কত কিলোমিটার?
  • কাশ্মীর কোন সময় খাওয়া উচিত?
  • কাশ্মীর কোন স্টেশনে যাওয়া যায়?
  • কাশ্মীরের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার কি?
  • কাশ্মীরের বিখ্যাত মাটন খাবার কি?
  • কাশ্মীর কি জন্য বিখ্যাত?
  • কাশ্মীরের কোন অংশটি বেশি সুন্দর, পোক নাকি আইওকে?
  • ঢাকা টু কাশ্মীর ট্রেন ভাড়া
  • কাশ্মীর ভ্রমণে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
  • শেষ কথা


 এয়ার টিকিটের ভাড়া


বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর সরাসরি বিমান চলাচল করে না। তাছাড়া কাশ্মীরে কোনো বিমান বন্দর নেই। তাই আপনাকে শ্রীনগর বিমানবন্দর নামতে হবে এবং সেখান থেকে কাশ্মীর যেতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর (শ্রীনগর) বিমান ভাড়া ১৮,৮৪৪ টাকা থেকে শুরু করে ৪৫,২৫৯ টাকা পর্যন্ত। প্রথমে ঢাকা থেকে বিমানে ভারতের দিল্লি বিমান বন্দরে যাত্রা বিরতি করে সেখান থেকে শ্রীনগর বিমানবন্দরে যেতে হবে।

আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে কয়েকটি দেশের কোম্পানি বিমান ভাড়া তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে:


  • Vistara 18,844 Tk

  • Air India 19,042 Tk

  • Indigo Air 40,203 Tk

  • Biman Bangladesh Airlines 45,259 Tk


বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর কম খরচে বিমানে যাওয়ার জন্য কমপক্ষে ১/২ মাস আগে থেকে বিমান টিকেট বুকিং করবেন।


ঢাকা টু কাশ্মীর বিমান ভাড়া কত




ঢাকা থেকে কাশ্মীর বিমান ভাড়া ১৮,৮৪৪ টাকা থেকে ৪৫,২৫৯ টাকা পর্যন্ত। মূলত ভ্রমণের সিজেনে বিমান ভাড়া সহ অন্যান্য ভাড়া কাশ্মীরে বেশি হয়ে থাকে। তাই আপনারা যত আগে সম্ভব বিমান টিকেট এবং হোটেল বুকিং করবেন ততই কম খরচ হবে।


বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরের দূরত্ব কত কিলোমিটার?


বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর যাবেন যেভাবে

ঢাকা থেকে জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের দূরত্ব ১৯০০ কিলোমিটার। এই দূরত্ব পাড়ি দেয়ার জন্য চেপে বসতে পারেন বিমান অথবা ট্রেনের যে কোন একটিতে। বিমানে গেলে খরচ নি:সন্দেহে যথেষ্ট বেশি হবে। আর ট্রেনে ভ্রমণ করলে অনেক কমেই ভ্রমণ শেষ করা সম্ভব তবে তাতে সময় লাগবে অনেক বেশি


কাশ্মীর কোন সময় খাওয়া উচিত?


কাশ্মীর ভ্রমণের সেরা সময়

যারা বরফের জগতে ডুবে যেতে চান, তারা বেছে নিতে পারেন ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস। ভাগ্য ভালো হলে স্নোফলে ভেজার অভিজ্ঞতাও মিলে যেতে পারে। ফুলেল এবং সবুজ কাশ্মীর দেখার জন্য উপযুক্ত সময় হলো এপ্রিল থেকে মে মাস।


কাশ্মীর কোন স্টেশনে যাওয়া যায়?


কাশ্মীরের নিকটতম প্রধান রেলওয়ে স্টেশন হল জম্মুর জম্মু তাউই রেলওয়ে স্টেশন । দিল্লি থেকে, আপনি জম্মু তাউইতে একটি ট্রেন নিতে পারেন, যা ভারতের প্রধান শহরগুলির সাথে ভালভাবে সংযুক্ত।

কাশ্মীরের মূল শহর শ্রীনগর। আপনি শ্রীনগরে যাওয়ার জন্য কিছু প্রধান ট্রেন স্টেশন রয়েছে:


  1. শ্রীনগর রেলওয়ে স্টেশন: এটি কাশ্মীরের প্রধান রেলওয়ে স্টেশন।

  2. উদমপুর স্টেশন: শ্রীনগরের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন যা শ্রীনগরের সাথে সংযুক্ত।

  3. জম্মু তাভি স্টেশন: এটি কাশ্মীরের বাইরে প্রধান ট্রেন স্টেশন, এবং এখান থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে বাস বা ট্যাক্সি নিতে হয়।


আপনি এসব স্টেশনে ট্রেন পেতে পারেন এবং তারপর স্থানীয় পরিবহনের মাধ্যমে কাশ্মীর পৌঁছাতে পারবেন।



কাশ্মীরের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার কি?


1. রোগান জোশ । কাশ্মীরি খাবারের একটি সিগনেচার ডিশ, রোগান জোশ একটি সুগন্ধযুক্ত ভেড়ার খাবার। মূলত মুঘলদের দ্বারা এই অঞ্চলে আনা, থালাটির একটি গভীর লাল রঙ রয়েছে যা সাধারণত কাশ্মীরি লাল মিরচ বা শুকনো ফুল বা রতন জোটের (একটি ভেষজ) এর শিকড়কে দায়ী করা হয়।  আরো 

কাশ্মীরের খাবার বিশ্ব-renowned স্বাদ এবং বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। কিছু সবচেয়ে জনপ্রিয় কাশ্মীরি খাবারের মধ্যে রয়েছে:

  1. রোগন জশ (Rogan Josh): এটি একটি সুগন্ধি মাংসের রেসিপি যা সাধারণত ল্যাম্বের সাথে তৈরি হয় এবং গরম মশলা এবং দই দিয়ে রান্না করা হয়।

  2. পুলাও (Pulao): কাশ্মীরি পুলাও একটি সুগন্ধি চালের খাবার যা বিভিন্ন ধরনের মসলা, বাদাম, কিশমিশ এবং sometimes মাংস বা সবজি দিয়ে তৈরি হয়।

  3. ডাল চাওর (Dal Chawal): এটি একটি সাধারণ কিন্তু সুস্বাদু খাবার যা মসুর ডাল এবং চাল দিয়ে তৈরি হয়।

  4. হাক কা সাগ (Haak Saag): কাশ্মীরের স্থানীয় পাতা মিষ্টি শাকের রান্না যা সাধারণত দই, তেল, এবং মশলা দিয়ে রান্না করা হয়।

  5. মির্চি কা সাগ (Mirchi Ka Saag): এটি এক ধরনের মরিচের পাতা যা সাধারণত দই, তেল এবং মশলা দিয়ে রান্না করা হয়।

  6. চেজ কাবাব (Chaman Kebab): পনিরের তৈরি কাবাব যা সুগন্ধি মশলা এবং দই দিয়ে রান্না করা হয়।

  7. সেজ কাবাব (Seekh Kebab): এটি একটি মাংসের কাবাব যা সাধারণত রান্না করা হয় এবং সুগন্ধি মশলা দিয়ে তৈরি হয়।

  8. ফিরনি (Firni): এটি একটি মিষ্টি ডেজার্ট যা গরম দুধ, চিনি, এবং বাসমতি চাল দিয়ে তৈরি হয়।

এছাড়াও, কাশ্মীরি চা, বিশেষ করে কহওয়া (Kahwa), অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং এটি সাধারণত সবুজ চা পাতা, দারুচিনি, এলাচ এবং বাদাম দিয়ে তৈরি করা হয়।


কাশ্মীরের বিখ্যাত মাটন খাবার কি?



গোশতবা একটি ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার যা রাজাদের থালা হিসাবে উদ্ভূত এবং এর একটি রাজকীয় স্বাদ রয়েছে। তাই, এটি কাশ্মীর পরিবারে রাজকীয় অনুষ্ঠানে তৈরি করা হয়। এটি মূলত দইয়ের গ্রেভি এবং বিভিন্ন মশলা দিয়ে রান্না করা কিমা মাটন বল।

কাশ্মীরের মাটন খাবারগুলি তাদের স্বাদ এবং সুগন্ধির জন্য খুবই বিখ্যাত। কিছু প্রধান মাটন খাবার যা কাশ্মীরি খাদ্যের বিশেষত্ব বহন করে:

  1. রোগন জশ (Rogan Josh): এটি কাশ্মীরি মাটন খাবারের মধ্যে অন্যতম। মাটন কাবাবকে গরম মশলা, দই এবং টমেটোর সাথে রান্না করা হয়, যা খাবারকে একটি সমৃদ্ধ রঙ এবং স্বাদ প্রদান করে।

  2. রেজালা (Rizala): এটি একটি সুস্বাদু মাটন স্টু যা দই, পেঁয়াজ, এবং বিশেষ মশলা দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি একটি মসলা ভরা এবং সুগন্ধি ডিশ।

  3. কাখরি (Kahkri): মাটনকে নরম করে রান্না করা হয় এবং এতে সাধারণত পেঁয়াজ, রসুন, আদা, এবং বিভিন্ন মশলা ব্যবহৃত হয়।

  4. মাটন কাবাব (Mutton Kebab): মাটন কাবাব কাশ্মীরের একটি জনপ্রিয় মাংসের খাবার, যা মাংসকে মশলা এবং অন্যান্য উপাদানের সাথে মেশানো হয় এবং পরে গ্রিল করা হয়।

  5. ইয়ার কাবাব (Yakhni Kebab): মাটনের কাবাব যা একটি দই এবং মশলা সসের সাথে রান্না করা হয়।

  6. মাটন কোরমা (Mutton Korma): এটি একটি মাংসের রেসিপি যা দই, নারকেল, এবং মশলা দিয়ে তৈরি হয়। কোরমা সাধারণত একটি গা dark ় সসের সাথে থাকে এবং এটি রুটির সাথে পরিবেশন করা হয়।

এই খাবারগুলো কাশ্মীরের খাওয়া-দাওয়ার ঐতিহ্যকে অত্যন্ত ভালোভাবে প্রতিনিধিত্ব করে এবং অঞ্চলটির মাংসের খাদ্য সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য বহন করে।

কাশ্মীর কি জন্য বিখ্যাত?


জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকা এই দুই অঞ্চল নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি গঠিত। শ্রীনগর এই অঞ্চলের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী এবং জম্মু শীতকালীন রাজধানী। কাশ্মীর উপত্যকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। জম্মু অঞ্চলে অনেক হিন্দু মন্দির থাকায় এটি হিন্দুদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র।



কাশ্মীরের কোন অংশটি বেশি সুন্দর, পোক নাকি আইওকে?



প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মতোই সুন্দর । আজাদ কাশ্মীর এবং গিলগিট বাল্টিস্তান উভয়ই জম্মু ও কাশ্মীরের মতোই স্বর্গীয়।

কাশ্মীরের পোলো এবং আইওকে (আইওকে = ইনডিয়ান অবজার্ভেশন কেম্প) উভয়ই তাদের সৌন্দর্য ও আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, কিন্তু প্রতিটির নিজস্ব বিশেষত্ব রয়েছে।

  1. পোলো (Pahalgam):

    • প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: পোলো কাশ্মীরের এক অত্যন্ত সুন্দর পাহাড়ি শহর যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শান্ত পরিবেশ এবং সবুজ দৃশ্যাবলী দিয়ে ঘেরা। এখানে লিদার নদীর তীরে সুন্দর দৃশ্য এবং সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পাওয়া যায়।

    • আবহাওয়া: পোলোতে শীতকালে তুষারপাত হয়, যা এই এলাকাকে আরও সুন্দর করে তোলে। গ্রীষ্মকালে এখানে তাজা ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকে।

    • ক্রিয়াকলাপ: এখানে আপনি ট্রেকিং, হর্স রাইডিং, এবং অন্যান্য বাইরের ক্রিয়াকলাপ উপভোগ করতে পারেন। পোলোও "ভ্যালি অফ শ্যাডো" নামে পরিচিত।

  2. আইওকে (Indian Observation Camp):

    • সামরিক পর্যবেক্ষণ: আইওকে, কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত সামরিক পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প। এই এলাকাগুলি সামরিক এবং কৌশলগত গুরুত্বের কারণে সীমিত নাগরিক প্রবেশাধিকার থাকতে পারে। সাধারণত এটি পর্যটকদের জন্য সীমিত পরিসরে থাকে এবং এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করা কঠিন হতে পারে।

    • প্রাকৃতিক দৃশ্য: যদিও সামরিক ক্যাম্পের আশেপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকতে পারে, এটি পোলোর মতো পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত নয়।

পোলো সাধারণত অধিক জনপ্রিয় এবং পর্যটকদের জন্য আরো সুবিধাজনক। এটি প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের জন্য বিখ্যাত। তাই, যদি আপনি কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্তির অভিজ্ঞতা নিতে চান, তাহলে পোলো একটি আদর্শ স্থান।

ঢাকা টু কাশ্মীর ট্রেন ভাড়া


রেলপথে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে কলকাতার হাওড়ার ট্রেন আছে যেখানে শ্রেণিভেদে জনপ্রতি ভাড়া ২ হাজার ৫৯৯ থেকে ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা। তারপর হাওড়া থেকে ট্রেন বদলে যাওয়া যাবে জম্মু। এখানে ননএসি স্লিপারগুলোর ভাড়া ৭৫০ থেকে ৭৯০ রুপি বা ৯৯০ থেকে ১ হাজার ৪২ দশমিক ৮ টাকা (১ ভারতীয় রুপি = ১ দশমিক ৩২ বাংলাদেশি টাকা)


কাশ্মীর ভ্রমণে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা


রাতযাপনের জন্য কাশ্মীরে বেশকিছু মানসম্মত আবাসিক হোটেল রয়েছে। এগুলোর ভাড়া পড়তে পারে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ রুপি বা ১ হাজার ৩২০ থেকে ১ হাজার ৯৮০ টাকার মধ্যে। শ্রীনগর ও জম্মুতে থাকার জন্য হোটেলের পাশাপাশি রয়েছে রিসোর্ট ও হাউস বোট। এখানে দুই জনের জন্য রুম ভাড়া পড়তে পারে ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ রুপির (১ হাজার ৫৮৪ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা) মধ্যে।

তবে শ্রীনগরের ডাল লেক সংলগ্ন হাউস বোটগুলো সব থেকে জনপ্রিয় টুরিস্ট এলাকা। এখানে থাকার খরচ অন্যান্য হোটেলগুলোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।


অনন্য মশলা ও রন্ধনশিল্পের কারণে কাশ্মীরের খাবারে রয়েছে এক স্বতন্ত্র সংস্কৃতির ছাপ। এখানকার নানা ধরনের তাজা ফল অন্যান্য যে কোনো পাহাড়ি ফলের স্বাদকে হার মানাতে সক্ষম। কাশ্মীরের বিখ্যাত মাটন বিরিয়ানি একবার হলেও ভোজনরসিক পর্যটকরা চেখে দেখার চেষ্টা করেন। এখানকার বিশেষ খাবারের মধ্যে রয়েছে ওজওয়ান, কাশ্মীরি কাবাব, মাটন রোগান জোশ, ভেড়ার মাংস, পনির চামান, আলুর দম এবং নাদরু ইয়াখনি।

এলাচ, দারুচিনি, জাফরান এবং বাদাম দিয়ে বানানো এক ধরনের চা আছে, যাকে কাহভা বলা হয়। এ ছাড়া এখানকার গুড়, গুড় চা নামের বাটার চাও বেশ জনপ্রিয়।


 শেষ কথা

কাশ্মীর একটি স্বপ্নময় গন্তব্য যা তার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং সমৃদ্ধ খাদ্যতালিকার জন্য পরিচিত। এখানে ভ্রমণ করলে আপনি পাহাড়, তলদেশের বাগান, এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে হারিয়ে যেতে পারবেন।

  • প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: পোলো, গুলমার্গ, সোনামার্গ, এবং শ্রীনগর—এই অঞ্চলের প্রতিটি স্থান তার নিজস্ব আকর্ষণীয় দৃশ্য এবং অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

  • থাকা ও খাওয়া: আপনি বিলাসবহুল হোটেল, হাউসবোট, গেস্ট হাউস, এবং স্থানীয় রেস্টুরেন্ট থেকে বিভিন্ন রকমের থাকার ও খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেন। কাশ্মীরি রান্না যেমন রোগন জশ, কোরমা, এবং হাক কা সাগ আপনাকে এক অনন্য gastronomic অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।

  • পরামর্শ: নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে স্থানীয় পরামর্শ মেনে চলুন এবং পরিচ্ছন্নতা ও বিশ্বস্ত উৎস থেকে খাবার ও পানীয় গ্রহণ করুন।

কাশ্মীরের ভ্রমণ আপনার জীবনের একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হতে পারে, যেখানে আপনি শান্তি, সৌন্দর্য, এবং সংস্কৃতির মিলন ঘটাতে পারবেন। যেখানেই যান, আপনার সফর আনন্দময় হোক!


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url