ঢাকার কাছে কম খরচের ১০ রিসোর্ট

আচ্ছা ঢাকা শহরের উঠলেই আপনার মাথায় ঠিক কোন কথাটি আসে? আমার মনে হয় অধিকাংশ মানুষের মাথায় আসবে এ এক যান্ত্রিক আর কোলাহলের শহর, সত্যিই কি তাই। কারণ এখানে মানুষ শুধু ছুটছে আর ছুটছে। এক মুহুর্তও যেন স্বস্তি নেই। এখানে পুরো একটি জঞ্জালময় অস্বস্তিকর সপ্তাহ পার হলে আসে ছুটিরদিন।

আচ্ছা ঢাকা শহরের উঠলেই আপনার মাথায় ঠিক কোন কথাটি আসে? আমার মনে হয় অধিকাংশ মানুষের মাথায় আসবে এ এক যান্ত্রিক আর কোলাহলের শহর, সত্যিই কি তাই। কারণ এখানে মানুষ শুধু ছুটছে আর ছুটছে। এক মুহুর্তও যেন স্বস্তি নেই। এখানে পুরো একটি জঞ্জালময় অস্বস্তিকর সপ্তাহ পার হলে আসে ছুটিরদিন।              আর তাই ছুটির দিনে আপনার পরিবারকে সময় দিতে এবং কিছুটা স্বস্তি পেতে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার আশেপাশে কোথাও। তবে ব্যস্ততার এই শহরে কোথায় গেলেই বা একটু শান্তি মিলবে? এমন প্রশ্ন যদি আপনার মনে ঘুরপাক খায়, তবে আমি বলবো দেরি না করে আজই ঘুরে আসুন ঢাকায় অবস্থিত রিসোর্ট থেকে।    ঢাকার কাছে কম খরচের ১০ রিসোর্ট ভাওয়াল রিসোর্ট শালবনের ভেতরে ..  সারাহ রিসোর্ট ঢাকার কাছে ...  নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট ...  ছুটি রিসোর্ট ...  গ্রিনটেক রিসোর্ট ...  রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট ...  দ্যা বেজ ক্যাম্প বাংলাদেশ.  জল ও জঙ্গলের কাব্য  ঢাকা সোনারগাও হোটেল রিসোর্ট  লা রিভেরিয়া রিসোর্ট   ভাওয়াল রিসোর্ট   ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ঢাকা থেকে ৩১ মাইল দূরে গাজীপুরের নলজানি গ্রামে ভাওয়াল রিসোর্টের অবস্থান। শালবনের ভেতরে সবুজের ছায়াঘেরা এই রিসোর্টে রয়েছে বিশাল সুইমিংপুল যা এখানকার মূল আকর্ষণ। এখানে ৬২টি ফ্যামিলি ভিলাসহ রয়েছে জিমনেসিয়াম, স্পা, সাইক্লিং, বার্বিকিউ সহ নানা সুযোগ সুবিধা।   যা যা পাবেনঃ  ভাওয়াল রিসোর্ট এর প্রধান আকর্ষণ বললে প্রথমেই যার কথা আসবে সেটি এর সুবিশাল সুইমিং পুল! পুরো রিসোর্টটির মাঝ দিয়ে এত সুন্দর ভাবে তৈরী করা হয়েছে এই সুইমিং পুল যেখানে সারাদিন কাটিয়ে দেয়া যাবে।  বাচ্চাদের জন্য রয়েছে কম উচ্চতার পুল। এমনকি পুল সাইডে বসেও কাছের মানুষটির সাথে গল্প করতেও ভালো লাগবে এখানে।   আরো পড়ুনঃ    সুইমিং পুল ছাড়া অন্য আকর্ষণ বলতে রয়েছে সাইক্লিং, লন টেনিস, ব্যাডমিন্টন, বিলিয়ার্ড, জিমনেশিয়াম, স্পা এবং বারবিকিউ জোন।  ছবি তোলার জন্য এই রিসোর্ট এক কথায় অসাধারণ! সাথে ফ্রি ওয়াইফাই তো আছেই!   থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাঃ  ভাওয়াল রিসোর্টের চেক ইন টাইম দুপর ২ টায় এবং চেক আউট টাইম বেলা ১২ টায়। রিসোর্টে প্রবেশ করার সাথে সাথেই এসে যাবে ওয়েলকাম ড্রিঙ্কস।  রিসোর্টে মোট ৬১ টি ভিলা রয়েছে যেগুলোকে ৩ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এক বেডরুম ভিলা, এক বেডরুম স্যুট, ২ বেডরুম স্যুট।    এগুলোতে ক্যাটাগরি অনুযায়ী রয়েছে একটি লিভিং বেডরুম, কিং বেডস এবং কুইন বেডস।  প্রত্যেকটি ভিলার রুমগুলোই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং সাথে রয়েছে এলসিডি টিভি। পছন্দ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিন আপনার থাকার জায়গাটিতে।  এছাড়া তিনবেলাই রকমারি খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে রিসোর্টটির দারুণভাবে সাজানো রেস্তোরাঁটিতে। রেস্তোরাতে আরও রয়েছে কমপ্লিমেন্টারি সকালের নাশতা।  নিরাপত্তা ও পার্কিংঃ   নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থায় রয়েছে প্রত্যেকটি ভিলাতে। এছাড়াও রিসোর্টটিতে রয়েছে পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা। ফলে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার এবং সেটা রাখা নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবেনা।  সব তো শোনা হলো। এখন আসা যাক ভাওয়াল রিসোর্টে আসা যাওয়ার ব্যবস্থায়।  ভাওয়াল রিসোর্টে যাওয়ার পথ না চিনলেও কোনো সমস্যা নেই, গুগল ম্যাপ এর সাহায্যে খুব সহজেই চিনে নেওয়া যাবে যাওয়ার পথ।   সারাহ রিসোর্ট   রাহ রিসোর্ট (Sarah Resort) ঢাকার কাছে পরিবার-পরিজন বা বন্ধু বান্ধব নিয়ে প্রকৃতির মাঝে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য খুবই আদর্শ জায়গায়। এটি বর্তমানে বাংলাদেশের লাক্সারি রিসোর্ট গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই রিসোর্ট সম্পূর্ণ প্রকৃতি বান্ধব যা আধুনিক সরঞ্জাম এবং বিলাসবহুল সুজোগ সুবিধা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।  Sarah Resort Wibsite =  https://sarahresort.com/  Contact Us   sarah-resort-map  Resort Address  Sarah Resort  Rajabari, Rajendrapur,  Sreepur, Gazipur,  Dhaka, Bangladesh  sarah-resort-map  Corporate Office  Fortis Sports Club,  Notun Bazar, Boro Beraid, (Behind AKM Rahmatullah University College), Dhaka-1212  contact-phone-icon  Reservation Hotline  01332556276  reservation@sarahresort.com  contact-phone-icon  Corporate Booking  +8801958 600 303-307  sales@sarahresort.com   নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট   নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্ট যা দেখবেন  নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট (Nokkhottrobari Resort) এর ভিতরটা দেখতে অনেক সুন্দর। এই রিসোর্ট (resort) এর ভেতরে রয়েছে একটি দিঘী, যা বেশ সুন্দর। এখানে আছে কৃত্রিম ঝর্না। যেখানে দর্শনার্থী আসলে তাদের এক মুহুর্তের জন্য মনে হবে তারা যেন পাহাড়ে ঝর্না (Fountain in the mountains) দেখতে এসেছে।  তাছাড়া ভিতরে আছে একটি বিশাল সুইমিংপুলও। যেখানে অনেককেই গোসল করতে দেখা যায়। আরও আছে রেস্টুরেন্ট ও কনফারেন্স হল (Restaurant and conference hall)।   চাইলে কেউ বিয়ে, জন্মদিন কিংবা বড় কোন ইভেন্ট এখানে এসে আয়োজন করতে পারবে। নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টে (nakkhottrobari resort) গেলে আরও আপনার চোখে পড়বে, বিল্ডিং কটেজ এবং কাঠ, বাঁশ ও ছনের তৈরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অনেকগুলো কটেজ।  এছাড়াও এখানে আছে শুটিং স্পট,  মুভি থিয়েটার (Movie theater), বাচ্চাদের খেলার জায়গা, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো ও মাছ ধরার মত সুব্যবস্থা। আর হ্যাঁ আপনারা কিন্তু চাইলে এই রিসোর্টে করতে পারবেন পুল সাইড পার্টিও। আবার এখানে বারবিকিউ পার্টির ব্যবস্থাও আছে। মোট কথা হলো ছুটির দিনে পছন্দের মানুষদের নিয়ে কাটানোর মতো সবধরনের সুন্দর ব্যবস্থাই আছে এই নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্ট এ।   আরও পড়ুনঃ    নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট খরচ  আপনারা যারা ঢাকার বাইরে থেকে নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টে (Nokkhottrobari Resort) আসবেন তারা নিশ্চয়ই ভাবছেন কোথায় থাকবেন?  চিন্তা নেই। এখানে বাইরে থেকে আগত দর্শনার্থীদের জন্যও আছে থাকার সু-ব্যবস্থা। দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫০০ টাকা।  ছোট বড় সকলকেই ৫০০ টাকা করে প্রবেশমূল্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। আর একটি পরিবারের ৩ জন ফ্রিতে সুইমিংপুল ব্যবহার করতে পারবেন। বাকিদের জন্য চার্জ দিয়ে পুল ব্যবহার করতে হবে।    ১) বাংলো ব্যবস্থা   হোটেল বাংলো- যদি কেউ গ্রুপ করে দলবেঁধে পিকনিক করতে এখানে আসে তবে এই বাংলোতে চাইলে থাকতে পারেন। এই বাংলোটি আকারের বেশ অনেকটাই বড়। তাই এখানে বেশ অনেকজন নিয়েই থাকা যাবে। টু-ইন বেড ৬ হাজার ৯৫৮ টাকা।   ২) ফ্যামিলি বাংলো   এই বাংলোতে ছোট ফ্যামিলি নিয়ে থাকার জন্য আছে সুব্যবস্থা। এখানে আছে দুটি বেডরুম একটি বাচ্চাদের রুম, লেক ভিউ। যেখানে ৫ জন নিয়ে থাকার মতো সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। তাই ছোট ফ্যামিলি যাদের রয়েছে তারা চাইলে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে। ২৪ ঘণ্টার ভাড়া ১০ হাজার ৭৫২ টাকা।   ৩) ওয়াটার বাংলো   এই বাংলোটি আগের বাংলো দুটির তুলনায় বেশ বড় সরই। এটিতে চাইলে বড় কিংবা ছোট যেকোন ফ্যামিলিই থাকতে পারবে। কটেজের ভাড়া কাপড়বেড ৮ হাজার ২২২ টাকা।   নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টে খাওয়ার ব্যবস্থা  নক্ষত্রবাড়ী রিসোর্টে রয়েছে খাওয়ার জন্য বেশ সুন্দর ব্যবস্থা। এখানে আসার পর আপনি সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকালের নাস্তা এবং রাতের খাবারোও খেয়ে যেতে পারবেন। এখানে সকাল থেকে পুরো রাত অব্দি খাবারের আয়োজন করা হয়। এই রিসোর্ট থেকেই।  এছাড়াও চাইলে কেউ বারবিকিউ পার্টি কিংবা অন্যান্য পার্টির আয়োজনও করতে পারবেন। তাছাড়া এখানে অন্যান্য খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।   কিভাবে যাবেন  এতক্ষনে নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কিভাবে নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্টে (Nokkhottrobari Resort) আসবেন? আপনি চাইলে বাস কিংবা গাড়ি দিয়ে খুব সহজে আসতে পারবেন এই রিসোর্টটিতে। আর যদি আপনার নিজস্ব কোন গাড়ি থাকে তাহলেতো আর কথাই নাই।  নিজস্ব গাড়ি দিয়ে একেবারেই সরাসরি বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এখানে পৌঁছে যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে আর আলাদা করে ভেঙে যেতে হবে না। কিন্তু যাদের গাড়ি নেই তারা চাইলে বাস দিয়ে যেতে পারেন।    এরজন্য প্রথমে ঢাকার মহাখালী গিয়ে বিমানবন্দর বাস স্টপে যেতে হবে এবং সেখান থেকে বাস ধরতে হবে। তারপর ময়মনসিংহ (Mymensingh) রোড ধরে রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা হয়ে আসতে হবে। এবং তারপর রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট যাওয়া বাসে করে রাজাবাড়ি নামক একটি স্থানে আপনাকে নামতে হবে।  এরপর রাজাবাড়ি বাজারে ডান দিকে গিয়ে দেড় কিলোমিটার এগিয়ে যেতে হবে। দেড় কিলোমিটার এগোলেই পৌঁছে যাবেন চিনাশুখানিয়া গ্রামের মধ্যে। সেই গ্রামেই আবার একটি এলাকা রয়েছে নাম বাঙালপাড়া। আর বাঙালপাড়া এলাকায়ই নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্ট (Nokkhottrobari Resort)। তাই বাঙালপাড়া গেলেই পৌঁছে যাবেন মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এই  নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্ট টিতে।  তবে যারা ঢাকায় থাকেন তারা চাইলে সিএনজি রির্জাভ ভাড়া করেও সরাসরি চলে আসতে পারবেন নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্টে। আর যারা ঢাকার বাইরে থেকে আসতে চান তাদের প্রথমে নিজ জেলা থেকে ঢাকার গাজিপুরে আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে সিনএনজি অথবা বাসে করে রিসোর্টে আসতে হবে। তবে যাদের মোটরসাইকেল আছে তারা চাইলে মোটরসাইকেলে করেই একটা লং জার্নি করতে পারেন।   Book Now!   +880 1772224281,  +880 1772224282, +880 1977356165  Office Hour: 10:00 AM-6:00 PM   sales@nokkhottrobari.com         NEWS & EVENTS  Amazing resort in Gazipur  Nokkhottrobari Resort, Rajendrapur  About Nokkhottrobari Resort   ছুটি রিসোর্ট   পরিচয়  ছুটি রিসোর্ট গাজীপুর ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্বমানের ইকো লাইফস্টাইল ও আতিথেয়তা সেবা নিশ্চিত করছে। এখানে  ঘোড়ার মত  মনোরম পরিবেশ, সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ,  রাত্রি যাপন করার জন্য  আরামদায়ক বেড ও সুন্দর রুম,  গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য সবার জন্য পার্কিং বরাদ্দ থাকবে, খাবার সুব্যবস্থা, এবং গ্রুপে সিস্টেম, চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত জন্ম গ্রহণ, আপনি চাইলে ড্রাইভারও নিতে পারেন, এবং অনেক পরিবেশ সাথে মিলিয়ে পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে, এমন  আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা এই ছুটি   রিসোর্টে  গেলে দেখতে পাবেন,  ছুটি রিপোর্টে যোগাযোগের জন্য সকল ইনফরমেশন নিচে দেওয়া হলো,     পেজ · হোটেল রিসর্ট    Sukundi, Amtoli, Joydebpur, Gazipur, Gazipur, Bangladesh    01777-114488    reservation@chutibd.com    chutiresortgazipur    01951537777    chutiresort.com    সবসময় খোলা    রিজার্ভেশন    দামের সীমা · $$$   গ্রিনটেক রিসোর্ট – গাজিপুর  ভ্রমন অঞ্চল: গাজীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান,     ঘন সবুজ ঘাস এবং বিভিন্ন গাছে গাছালিতে  ঢাকা সুনিবিড় ছায়া ঘেড়া ছয় একর জায়গা জুড়ে রয়েছে ঢাকা থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের নিভৃত গ্রাম ভবানীপুরের গ্রামীণ পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে গ্রিনটেক রিসোর্টে ।   নিরিবিলিতে ঘুরে আসার জন্য গ্রিনটেক রিসোর্ট এ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার (Greentech Resort And Convention Center) অনেকের প্রথম পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে এর নিরাপত্তার জন্য। ভবানীপুরের এ রিসোর্টটি বনের মধ্যে হলেও এখানে সব সময় সশস্ত্র আনসার প্রহরায় থাকে। এর বাইরেও নিজস্ব আরও নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। রিসোর্টের চারপাশই দেয়ালঘেরা। সুইমিংপুলটিও আলাদা দেয়ালঘেরা।  গ্রিনটেক রিসোর্টের বিশেষ আকর্ষন হিসাবে রয়েছে পুকুরের কাঠের মাচার ওপর কটেজ। মন চাইলেই পুকুরে নৌকায় ভাসতে ভাসতে ছিপ ফেলতে পারেন অতিথিরা। বড়শি গিললে নিশ্চয়ই আনন্দ সীমা ছাড়াবে। তাছাড়া বড়দের পাশাপাশি ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।   গ্রিনটেক রিসোর্টের আবাসন/ রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা –  এখানে রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে ৭৩টি এসি রুম। বনের পাশের কুইন বেডের রুম গুলোর ভাড়া পড়বে ৪০০০ টাকা এবং ডিলক্স টুইন বেডের রুম গুলোর ভাড়া পড়বে ৫০০০ টাকা। তাছাড়া পানির উপরের কটের রুম গুলোর    ভাড়া পড়বে ৬০০০ টাকা।  যোগাযোগ – বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন http://greentech-resort.com/ অথবা ফোন করুন 01777 – 737 351,  01777 – 737 363   তাছাড়া আরো আছে একটি অডিটেরিয়াম, দুটি কনফরেন্স রুম, একটি সুমিং পুল, দুটি ডায়নিং হল, আর দুটি পুকুর। সম্পূর্ণ শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এখানে রয়েছে ইনডোর, আউটডোর গেমের সকল সুবিধা। পুরো রিসোর্টটি রয়েছে  ওয়াই ফাই সংযোগ।   কীভাবে যাবেন –  গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে সোজা ময়মনসিংহ রোড ধরে ৫/৬ কি.মি. যেতে হবে। এরপর যে রাস্তাটা গেছে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টের দিকে (কাপাসিয়ার দিকে) সেটা ধরে আরো ৪ কি.মি. গেলেই দেখবেন ক্যান্টমেন্ট কলেজ। এখান থেকে হাতের বাঁ দিকে ছোট্ট একটা রাস্তা চলে গেছে বনের দিকে। এ রাস্তা ধরে ৫ কি.মি. গেলে পরবে গ্রিনটেক রিসোর্ট।   রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট লিমিটেড  RAJENDRA ECO RESORT LTD, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা রিসোর্ট, যা গাজীপুর জেলার অধীনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কাছে ভবানীপুরে অবস্থিত। মেগা সিটি ঢাকার সাথে এটির খুব সুবিধাজনক যোগাযোগ রয়েছে। রিসর্টগুলির চমৎকার দৃশ্য এবং প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপ দ্বারা আচ্ছাদিত একটি বিশাল এলাকা রয়েছে। কৃত্রিম উপস্থাপনা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এটিকে বিনোদন এবং বিনোদনের জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা করে তোলে।   ওয়েবসাইট =  RAJENDRA ECO RESORT LTD   দ্যা বেজ ক্যাম্প বাংলাদেশ   গাজীপুরের বেস ক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধা  এখানে পাওয়া যাবে প্রাকৃতিক সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার সুযোগ। পুরো এলাকার চারপাশ ঘেরাও করে প্রাচীর তোলা আছে, তাই অনাকাঙ্ক্ষিত অনুপ্রবেশের ভয় নেই। আর ক্যাম্পের ভেতরে নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়মিত টহল চলে। তাদেরকে সঙ্গ দেয় প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড।  অ্যাক্টিভিটিগুলোতে সঠিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য রয়েছেন পুরুষ ও নারী প্রশিক্ষক এবং তারা সকলেই সার্টিফিকেট প্রাপ্ত।  অ্যাক্টিভিটিগুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয় টপ-অফ-লাইন সরঞ্জাম ও গিয়ার। এরপরেও অসাবধানতা বশত যে কোনো সমস্যার জন্য ২৪ ঘন্টা প্রস্তুত থাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান টিম।  সবশেষে, সরাসরি খেত থেকে তোলা টাটকা খাবারের কথা না বললেই নয়, যা প্রস্তুত করা হয় অভিজ্ঞ রাধুনীর মাধ্যমে।  বেস ক্যাম্পে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা  এখানে থাকার জন্য আছে এসি প্রাইভেট বাংলো, ডরমেটরি রুম, প্রাইভেট রুম, মাচা ঘর, সাফারি এবং তাঁবু। তাঁবুর ব্যবস্থাটা করা হয় মূলত সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটির ওপর নির্ভর করে তাঁবুতে থাকার খরচ কম-বেশি হয়।   তাঁবুর প্যাকেজগুলো বিশেষত গ্রুপ ভিত্তিক তথা স্কুল, পরিবার ও কর্পোরেটদের জন্য হয়ে থাকে। ২০ জনের দলে প্রতি দুইজনের জন্য তাবু ভাড়া ২৫০০ টাকা। যারা এসি ও বাথরুমসহ সিঙ্গেল রুম নিতে চান তাদের জন্যও একই খরচ। তবে ডাবল রুমের জন্য ৩৫০০ টাকা ভাড়া। বিশাল লিভিং রুম ও লাউঞ্জসহ ডুপ্লেক্স বাংলোর জন্য গুণতে হবে ১২০০০ টাকা।   এ ছাড়া অ্যাক্টিভিটিগুলোর ওপর নির্ভর করে ক্যাম্পে ঘোরাফেরা ও থাকার খরচ পরিবর্তন হয়।  অ্যাক্টিভিটি ছাড়া সারাদিন ঘোরার জন্য জনপ্রতি খরচ ২২০০ টাকা। এখানে খাবার এবং অন্যান্য পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত। এই প্যাকেজে রাত্রি যাপন করতে হলে প্যাকেজ মূল্য বেড়ে ৩৯৯৫ টাকা হবে। সেক্ষেত্রে রাতের খাবারসহ থাকার জন্য টুইন শেয়ার তাঁবু দেওয়া হবে।   অ্যাক্টিভিটিসহ সারাদিন ক্যাম্পে থাকার জন্য জনপ্রতি খরচ ৩৪৯৫ টাকা। এখানে অ্যাক্টিভিটিসহ খাদ্য এবং অন্যান্য পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত। এই প্যাকেজে রাত্রি যাপন করতে হলে প্যাকেজ মূল্য হবে ৫৪৯৫ টাকা। এতে অন্যান্য পরিষেবার পাশাপাশি রাতের খাবারসহ টুইন শেয়ার তাঁবু যোগ হবে।   এ ছাড়া প্যাকেজগুলো পছন্দমত কাস্টমাইজ করা যেতে পারে, যেমন ২ দিন ১ রাত কিংবা ৩ দিন ২ রাত।  সবগুলো প্যাকেজে ভ্রমণকারীদেরকে আলাদা করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। খাবারের ক্ষেত্রে এখানে সাধারণত দিনে ও রাতে বুফের ব্যবস্থা থাকে। তবে আগে থেকে বলে রাখলে পছন্দমতো খাবারের ব্যবস্থা করা যায়। এখানে খেয়াল রাখতে হবে, ক্যাম্পের ভেতরে বাইরে থেকে খাবার নিয়ে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয় না। তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য বা বেস ক্যাম্পের ব্যাপারে সর্বশেষ খবরাখবর জানতে ঘুরে আসতে পারেন তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে।   ঢাকা থেকে গাজীপুর বেস ক্যাম্পে যাওয়ার উপায়  ঢাকা থেকে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের মাদবপুর এলাকার শফিপুরে দ্য বেস ক্যাম্প বাংলাদেশের অবস্থান। ঢাকার গুলিস্তান থেকে বিভিন্ন উপায়ে গাজীপুর বেস ক্যাম্পে যাওয়া যেতে পারে।  টঙ্গী রুট ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়েতে চলাচলকারী যেকোন বাসে করে গাজীপুর চৌরাস্তায় যাওয়া যায়। অতঃপর বামে জয়দেব-টাঙ্গাইল হাইওয়ে ধরে কিছুদুর এগুলেই পড়বে শফিপুর। সেখান থেকে বামে মোড় নিয়ে মাধবপুর সড়ক ধরে গেলেই পৌঁছা যাবে বেস ক্যাম্পে।   এখানে যাওয়ার আরেকটি উপায় হচ্ছে সাভার হয়ে যাওয়া। এর জন্য নবীনগর-চন্দ্রা রুটে বাইপাইল পেরিয়ে যেতে হবে ডানে জিরানি-কাশিমপুর রোড বরাবর। কিছুদূর গেলেই হাতের বামে পড়বে মাধবপুর রোড।  নিজস্ব গাড়ি বা রিজার্ভ গাড়ি হলে যে কোনো রুটেই খুব সহজেই পৌঁছা যাবে এই বেস ক্যাম্পে।   ওয়েবসাইট  Base Camp  thebasecampbd.com   জল ও জঙ্গলের কাব্য  গাজীপুর জেলার টঙ্গী পুবাইল অবস্থিত জল জঙ্গলের কাব্য (Jol Jongoler Kabbo) রিসোর্ট যা অনেকের কাছে পাইলট বাড়ি হিসেবে পরিচিত। প্রাকৃতিক এক ভূমিকে অবিকৃত রেখে আরো প্রাকৃতিক করা হয়েছে ডিজাইনারের নিপুণ ছোঁয়ায়। জোছনা দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন জল জঙ্গলের কাব্য থেকে। বিলের ওপর জোছনার আলো এক অন্য রকম অনুভূতি দিবে আপনাকে। অল্প খরচে সারাদিন ঘুরে আসার জন্য এর চেয়ে ভাল জায়গা হবে না। প্রাকৃতিক গাছপালা আর শান্তু বিলের পারে বসে কাটিয়ে দিন ১ টা দিন। ঢাকার আসে পাশে একদিনের মধ্যে ঘুরে আসার জন্যে এর থেকে ভালো জায়গা খুব কমই পাবেন। হারিয়ে যাবার আগেই যারা আরো কিছুদিন ছুঁয়ে দেখতে চান অনাবিল সবুজ, মাছের দেখা নাই তবু বড়শি হাতে বসে থাকতে চান নিস্তরঙ্গ দুপুরে তাদের জন্য অপেক্ষায় আছে জল জঙ্গলের কাব্য। এক নিভৃতচারী মানুষের স্বপ্নসাধ বলা যায় এই আয়োজন, ঢাকার অদূরে পূবাইলে ৯০ বিঘা জমির উপর গড়ে উঠেছে একটুকরো গ্রাম। বাঁশ আর পাটখড়ির বেড়া ,উপরে ছনের ছাউনি, সামনে দিগন্ত বিস্তৃত জলের নাচন। এটা তেমন আধুনিক জায়গা নয় কিন্তু পরিচ্ছন্ন এবং গ্রাম-বাংলার একটা ছোয়া আছে এর আদলে। জল জঙ্গলের কাব্য পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে গড়ে তোলা। এর ঘরগুলো বাঁশ-বেড়ার। বেলাই বিল মানে ওয়াটার বডিকে কেন্দ্রীয় চরিত্র রেখে তৈরি করা হয়েছে জল জঙ্গলের কাব্য। নিজস্ব জমির শাক-সবজি ও ধান দিয়ে খাবার তৈরি হয়। বিল থেকে মাছও ধরা হয়। সকালে চালগুঁড়ার রুটির কথা অনেকে মনে রাখেন। রিসোর্ট কর্মীরা পেশাদার, তবে বাণিজ্যিক নয়।   খরচ  এখানে জনপ্রতি নেয়া হয় ৩০০০ টাকা নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার সহ। খরচটা একটু বেশী মনে হতে পারে। তবে খাবার বহরা দেখলে তা আর মনে হবে না। সারাদিনের জন্যে ১৫০০ টাকা জনপ্রতি (সকালের সাস্তা, দুপুরের খাবার আর বিকেলে স্ন্যাক্স)। শিশু (৫-১০ বছর), কাজের লোক ও ড্রাইভার – ৬০০ টাকা জনপ্রতি।   যোগাযোগ  ফোন নম্বর – ০১৯১৯৭৮২২৪৫ (মি: কামরুল) অথবা ০১৯১৯৭৮২২৪৫   খাবার  জল জংগলের কাব্য এর খাবারের মেনুগুলো দারুন – ভাত, পোলাও, চালতা দিয়ে ডাল, মুরগির মাংশ, রুই মাছ, গুড়া মাছ, তেতুল দিয়ে কচুমুখি, আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা, ঘন ডাল আরো বেশ কটি আইটেম।   সকালের নাস্তায় থাকে চিতই পিঠা, গুড়, লুচি, মাংশ, ভাজি, চা, মুড়ি।   দুপুরের খাবারে থাকে ১০/১২ রকম দেশী আইটেম। মোটা চালের ভাত, পোলাও, মুরগির ঝোল, ছোট মাছ আর টক দিয়ে কচুমুখির ঝোল, দেশী রুই মাছ, ৩ রকমের ডাল, কয়েক রকমের ভর্তা এবং সবজি।   প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও    ঢাকার একটি ঐতিহাসিক পাঁচ তারকা হোটেল। দেশের অন্যতম প্রাচীন এই হোটেলের মালিক বাংলাদেশ সরকার এবং হোটেলটি পরিচালনা করে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্যান প্যাসিফিক হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস। রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় ৮ একর জমির ওপর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও অবস্থিত।    বাংলাদেশি প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে হোটেলটিতে দুই জনের থাকা। ভাড়ায় ক্যাফে বাজারের বুফে নাশতা, সুইমিং পুল ব্যবহারের সুযোগ, উচ্চগতির ওয়াইফাই ও পাঁচতারকা সেবা অন্তর্ভুক্ত। ডিলাক্স রুমের ভাড়া ১২ হাজার ১৫০ টাকা থেকে শুরু।   প্রথম পুরস্কার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সৌজন্যে ঢাকা-দুবাই রুটের টিকিট। দ্বিতীয় পুরস্কার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের এক্সিকিউটিভ স্যুটে একরাত থাকার সুযোগ। এছাড়া তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী প্রিমিয়ার রুমে একরাত থাকতে পারবেন। প্রতিটি পুরস্কার দুই জনের জন্য। সোনারগাঁও ঢাকা হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘কাম ফ্লাইট উইথ মি মাই ভ্যালেন্টাইন’ শীর্ষক আয়োজন শুরু হয়েছে গত ১০ জানুয়ারি। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এখানে বাংলাদেশি প্যাকেজ নিলে র‌্যাফেল ড্র’তে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে।   Welcome to Pan Pacific Sonargaon Dhaka  Address. 107, Kazi Nazrul Islam Avenue, Dhaka 1215.  Call Us. +88 02 222240400.  Email Us. enquiry.ppdacpanpacific@panpacificpanpacific.com.   লা রিভেরিয়া রিসোর্ট  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত এই রিসোর্টে খুব সহজেই পূর্বাচলের ৩০০ ফিট রাস্তা ধরে চলে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে এই রিসোর্টে যেতে সময় লাগবে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা। উডেন কটেজ আর স্বচ্ছ সুইমিং পুলের জন্য ঘুরে আসতে পারেন এ রিসোর্ট থেকে।    লা রিভেরিয়া রিসোর্ট। ছবি: লা রিভেরিয়া রিসোর্টের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া  ডে লং ট্রিপ থেকে শুরু করে শুধু রাত্রিযাপন অথবা ২৪ ঘণ্টার প্যাকেজ সবই আছে। তবে আগে থেকেই বুকিং করে নেওয়া ভালো। ডে লং প্যাকেজে খরচ জনপ্রতি ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা আর ১ দিনের জন্য উডেন কটেজ বুকিং দিতে লাগবে ৭ হাজার ৫০০ থেকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। যোগাযোগ: ০১৮১০১১১৪২   উপসংহার   আপনি যদি রিসোর্টগুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য চান বা কোন বিশেষ অভিজ্ঞতার সন্ধান করছেন, আমি সাহায্য করতে পারি। প্রতিটি রিসোর্টের নিজস্ব সৌন্দর্য ও সুবিধা রয়েছে, তাই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাচন করা উচিত। কিছু প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞেস করুন!

আর তাই ছুটির দিনে আপনার পরিবারকে সময় দিতে এবং কিছুটা স্বস্তি পেতে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার আশেপাশে কোথাও। তবে ব্যস্ততার এই শহরে কোথায় গেলেই বা একটু শান্তি মিলবে? এমন প্রশ্ন যদি আপনার মনে ঘুরপাক খায়, তবে আমি বলবো দেরি না করে আজই ঘুরে আসুন ঢাকায় অবস্থিত রিসোর্ট থেকে। 


ঢাকার কাছে কম খরচের ১০ রিসোর্ট

  • ভাওয়াল রিসোর্ট শালবনের ভেতরে ..

  • সারাহ রিসোর্ট ঢাকার কাছে ...

  • নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট ...

  • ছুটি রিসোর্ট ...

  • গ্রিনটেক রিসোর্ট ...

  • রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট ...

  • দ্যা বেজ ক্যাম্প বাংলাদেশ.

  • জল ও জঙ্গলের কাব্য

  • ঢাকা সোনারগাও হোটেল রিসোর্ট

  • লা রিভেরিয়া রিসোর্ট


ভাওয়াল রিসোর্ট 


ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ঢাকা থেকে ৩১ মাইল দূরে গাজীপুরের নলজানি গ্রামে ভাওয়াল রিসোর্টের অবস্থান। শালবনের ভেতরে সবুজের ছায়াঘেরা এই রিসোর্টে রয়েছে বিশাল সুইমিংপুল যা এখানকার মূল আকর্ষণ। এখানে ৬২টি ফ্যামিলি ভিলাসহ রয়েছে জিমনেসিয়াম, স্পা, সাইক্লিং, বার্বিকিউ সহ নানা সুযোগ সুবিধা।


যা যা পাবেনঃ

ভাওয়াল রিসোর্ট এর প্রধান আকর্ষণ বললে প্রথমেই যার কথা আসবে সেটি এর সুবিশাল সুইমিং পুল! পুরো রিসোর্টটির মাঝ দিয়ে এত সুন্দর ভাবে তৈরী করা হয়েছে এই সুইমিং পুল যেখানে সারাদিন কাটিয়ে দেয়া যাবে।

বাচ্চাদের জন্য রয়েছে কম উচ্চতার পুল। এমনকি পুল সাইডে বসেও কাছের মানুষটির সাথে গল্প করতেও ভালো লাগবে এখানে।


আরো পড়ুনঃ ঢাকা থেকে কাশ্মীর প্লেন ভাড়া কত?


সুইমিং পুল ছাড়া অন্য আকর্ষণ বলতে রয়েছে সাইক্লিং, লন টেনিস, ব্যাডমিন্টন, বিলিয়ার্ড, জিমনেশিয়াম, স্পা এবং বারবিকিউ জোন।

ছবি তোলার জন্য এই রিসোর্ট এক কথায় অসাধারণ! সাথে ফ্রি ওয়াইফাই তো আছেই!


থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাঃ

ভাওয়াল রিসোর্টের চেক ইন টাইম দুপর ২ টায় এবং চেক আউট টাইম বেলা ১২ টায়। রিসোর্টে প্রবেশ করার সাথে সাথেই এসে যাবে ওয়েলকাম ড্রিঙ্কস।

রিসোর্টে মোট ৬১ টি ভিলা রয়েছে যেগুলোকে ৩ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এক বেডরুম ভিলা, এক বেডরুম স্যুট, ২ বেডরুম স্যুট। 


এগুলোতে ক্যাটাগরি অনুযায়ী রয়েছে একটি লিভিং বেডরুম, কিং বেডস এবং কুইন বেডস।

প্রত্যেকটি ভিলার রুমগুলোই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং সাথে রয়েছে এলসিডি টিভি। পছন্দ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিন আপনার থাকার জায়গাটিতে।

এছাড়া তিনবেলাই রকমারি খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে রিসোর্টটির দারুণভাবে সাজানো রেস্তোরাঁটিতে। রেস্তোরাতে আরও রয়েছে কমপ্লিমেন্টারি সকালের নাশতা।

নিরাপত্তা ও পার্কিংঃ 

নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থায় রয়েছে প্রত্যেকটি ভিলাতে। এছাড়াও রিসোর্টটিতে রয়েছে পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা। ফলে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার এবং সেটা রাখা নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবেনা।

সব তো শোনা হলো। এখন আসা যাক ভাওয়াল রিসোর্টে আসা যাওয়ার ব্যবস্থায়।  ভাওয়াল রিসোর্টে যাওয়ার পথ না চিনলেও কোনো সমস্যা নেই, গুগল ম্যাপ এর সাহায্যে খুব সহজেই চিনে নেওয়া যাবে যাওয়ার পথ।


সারাহ রিসোর্ট 


রাহ রিসোর্ট (Sarah Resort) ঢাকার কাছে পরিবার-পরিজন বা বন্ধু বান্ধব নিয়ে প্রকৃতির মাঝে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য খুবই আদর্শ জায়গায়। এটি বর্তমানে বাংলাদেশের লাক্সারি রিসোর্ট গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই রিসোর্ট সম্পূর্ণ প্রকৃতি বান্ধব যা আধুনিক সরঞ্জাম এবং বিলাসবহুল সুজোগ সুবিধা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।

Sarah Resort Wibsite =  https://sarahresort.com/

Contact Us


sarah-resort-map

Resort Address

Sarah Resort

Rajabari, Rajendrapur,

Sreepur, Gazipur,

Dhaka, Bangladesh

sarah-resort-map

Corporate Office

Fortis Sports Club,

Notun Bazar, Boro Beraid, (Behind AKM Rahmatullah University College), Dhaka-1212

contact-phone-icon

Reservation Hotline

01332556276

reservation@sarahresort.com

contact-phone-icon

Corporate Booking

+8801958 600 303-307

sales@sarahresort.com


নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট 


নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্ট যা দেখবেন

নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট (Nokkhottrobari Resort) এর ভিতরটা দেখতে অনেক সুন্দর। এই রিসোর্ট (resort) এর ভেতরে রয়েছে একটি দিঘী, যা বেশ সুন্দর। এখানে আছে কৃত্রিম ঝর্না। যেখানে দর্শনার্থী আসলে তাদের এক মুহুর্তের জন্য মনে হবে তারা যেন পাহাড়ে ঝর্না (Fountain in the mountains) দেখতে এসেছে।

তাছাড়া ভিতরে আছে একটি বিশাল সুইমিংপুলও। যেখানে অনেককেই গোসল করতে দেখা যায়। আরও আছে রেস্টুরেন্ট ও কনফারেন্স হল (Restaurant and conference hall)।


চাইলে কেউ বিয়ে, জন্মদিন কিংবা বড় কোন ইভেন্ট এখানে এসে আয়োজন করতে পারবে। নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টে (nakkhottrobari resort) গেলে আরও আপনার চোখে পড়বে, বিল্ডিং কটেজ এবং কাঠ, বাঁশ ও ছনের তৈরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অনেকগুলো কটেজ।

এছাড়াও এখানে আছে শুটিং স্পট,  মুভি থিয়েটার (Movie theater), বাচ্চাদের খেলার জায়গা, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো ও মাছ ধরার মত সুব্যবস্থা। আর হ্যাঁ আপনারা কিন্তু চাইলে এই রিসোর্টে করতে পারবেন পুল সাইড পার্টিও। আবার এখানে বারবিকিউ পার্টির ব্যবস্থাও আছে। মোট কথা হলো ছুটির দিনে পছন্দের মানুষদের নিয়ে কাটানোর মতো সবধরনের সুন্দর ব্যবস্থাই আছে এই নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্ট এ।


আরও পড়ুনঃ বন্যা মোকাবেলায় আমাদের করণীয় কি?


নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট খরচ

আপনারা যারা ঢাকার বাইরে থেকে নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টে (Nokkhottrobari Resort) আসবেন তারা নিশ্চয়ই ভাবছেন কোথায় থাকবেন?  চিন্তা নেই। এখানে বাইরে থেকে আগত দর্শনার্থীদের জন্যও আছে থাকার সু-ব্যবস্থা। দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫০০ টাকা।

ছোট বড় সকলকেই ৫০০ টাকা করে প্রবেশমূল্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। আর একটি পরিবারের ৩ জন ফ্রিতে সুইমিংপুল ব্যবহার করতে পারবেন। বাকিদের জন্য চার্জ দিয়ে পুল ব্যবহার করতে হবে। 


১) বাংলো ব্যবস্থা 

হোটেল বাংলো- যদি কেউ গ্রুপ করে দলবেঁধে পিকনিক করতে এখানে আসে তবে এই বাংলোতে চাইলে থাকতে পারেন। এই বাংলোটি আকারের বেশ অনেকটাই বড়। তাই এখানে বেশ অনেকজন নিয়েই থাকা যাবে। টু-ইন বেড ৬ হাজার ৯৫৮ টাকা।


২) ফ্যামিলি বাংলো 

এই বাংলোতে ছোট ফ্যামিলি নিয়ে থাকার জন্য আছে সুব্যবস্থা। এখানে আছে দুটি বেডরুম একটি বাচ্চাদের রুম, লেক ভিউ। যেখানে ৫ জন নিয়ে থাকার মতো সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। তাই ছোট ফ্যামিলি যাদের রয়েছে তারা চাইলে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে। ২৪ ঘণ্টার ভাড়া ১০ হাজার ৭৫২ টাকা।


৩) ওয়াটার বাংলো 

এই বাংলোটি আগের বাংলো দুটির তুলনায় বেশ বড় সরই। এটিতে চাইলে বড় কিংবা ছোট যেকোন ফ্যামিলিই থাকতে পারবে। কটেজের ভাড়া কাপড়বেড ৮ হাজার ২২২ টাকা।


নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টে খাওয়ার ব্যবস্থা

নক্ষত্রবাড়ী রিসোর্টে রয়েছে খাওয়ার জন্য বেশ সুন্দর ব্যবস্থা। এখানে আসার পর আপনি সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকালের নাস্তা এবং রাতের খাবারোও খেয়ে যেতে পারবেন। এখানে সকাল থেকে পুরো রাত অব্দি খাবারের আয়োজন করা হয়। এই রিসোর্ট থেকেই।

এছাড়াও চাইলে কেউ বারবিকিউ পার্টি কিংবা অন্যান্য পার্টির আয়োজনও করতে পারবেন। তাছাড়া এখানে অন্যান্য খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।


কিভাবে যাবেন

এতক্ষনে নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কিভাবে নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্টে (Nokkhottrobari Resort) আসবেন? আপনি চাইলে বাস কিংবা গাড়ি দিয়ে খুব সহজে আসতে পারবেন এই রিসোর্টটিতে। আর যদি আপনার নিজস্ব কোন গাড়ি থাকে তাহলেতো আর কথাই নাই।

নিজস্ব গাড়ি দিয়ে একেবারেই সরাসরি বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এখানে পৌঁছে যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে আর আলাদা করে ভেঙে যেতে হবে না। কিন্তু যাদের গাড়ি নেই তারা চাইলে বাস দিয়ে যেতে পারেন। 


এরজন্য প্রথমে ঢাকার মহাখালী গিয়ে বিমানবন্দর বাস স্টপে যেতে হবে এবং সেখান থেকে বাস ধরতে হবে। তারপর ময়মনসিংহ (Mymensingh) রোড ধরে রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা হয়ে আসতে হবে। এবং তারপর রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট যাওয়া বাসে করে রাজাবাড়ি নামক একটি স্থানে আপনাকে নামতে হবে।

এরপর রাজাবাড়ি বাজারে ডান দিকে গিয়ে দেড় কিলোমিটার এগিয়ে যেতে হবে। দেড় কিলোমিটার এগোলেই পৌঁছে যাবেন চিনাশুখানিয়া গ্রামের মধ্যে। সেই গ্রামেই আবার একটি এলাকা রয়েছে নাম বাঙালপাড়া। আর বাঙালপাড়া এলাকায়ই নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্ট (Nokkhottrobari Resort)। তাই বাঙালপাড়া গেলেই পৌঁছে যাবেন মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এই  নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্ট টিতে।

তবে যারা ঢাকায় থাকেন তারা চাইলে সিএনজি রির্জাভ ভাড়া করেও সরাসরি চলে আসতে পারবেন নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্টে। আর যারা ঢাকার বাইরে থেকে আসতে চান তাদের প্রথমে নিজ জেলা থেকে ঢাকার গাজিপুরে আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে সিনএনজি অথবা বাসে করে রিসোর্টে আসতে হবে। তবে যাদের মোটরসাইকেল আছে তারা চাইলে মোটরসাইকেলে করেই একটা লং জার্নি করতে পারেন। 

Book Now!


  • +880 1772224281,

  • +880 1772224282,
    +880 1977356165

  • Office Hour: 10:00 AM-6:00 PM

  •  sales@nokkhottrobari.com

     

NEWS & EVENTS


ছুটি রিসোর্ট


পরিচয়

ছুটি রিসোর্ট গাজীপুর ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্বমানের ইকো লাইফস্টাইল ও আতিথেয়তা সেবা নিশ্চিত করছে। এখানে  ঘোড়ার মত  মনোরম পরিবেশ, সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ,  রাত্রি যাপন করার জন্য  আরামদায়ক বেড ও সুন্দর রুম,  গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য সবার জন্য পার্কিং বরাদ্দ থাকবে, খাবার সুব্যবস্থা, এবং গ্রুপে সিস্টেম, চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত জন্ম গ্রহণ, আপনি চাইলে ড্রাইভারও নিতে পারেন, এবং অনেক পরিবেশ সাথে মিলিয়ে পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে, এমন  আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা এই ছুটি   রিসোর্টে  গেলে দেখতে পাবেন,  ছুটি রিপোর্টে যোগাযোগের জন্য সকল ইনফরমেশন নিচে দেওয়া হলো, 

  • পেজ · হোটেল রিসর্ট

  • Sukundi, Amtoli, Joydebpur, Gazipur, Gazipur, Bangladesh

  • 01777-114488

  • reservation@chutibd.com

  • chutiresortgazipur

  • 01951537777

  • chutiresort.com

  • সবসময় খোলা

  • রিজার্ভেশন

  • দামের সীমা · $$$


গ্রিনটেক রিসোর্ট – গাজিপুর


ভ্রমন অঞ্চল: গাজীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান,

 

ঘন সবুজ ঘাস এবং বিভিন্ন গাছে গাছালিতে  ঢাকা সুনিবিড় ছায়া ঘেড়া ছয় একর জায়গা জুড়ে রয়েছে ঢাকা থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের নিভৃত গ্রাম ভবানীপুরের গ্রামীণ পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে গ্রিনটেক রিসোর্টে ।


নিরিবিলিতে ঘুরে আসার জন্য গ্রিনটেক রিসোর্ট এ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার (Greentech Resort And Convention Center) অনেকের প্রথম পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে এর নিরাপত্তার জন্য। ভবানীপুরের এ রিসোর্টটি বনের মধ্যে হলেও এখানে সব সময় সশস্ত্র আনসার প্রহরায় থাকে। এর বাইরেও নিজস্ব আরও নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। রিসোর্টের চারপাশই দেয়ালঘেরা। সুইমিংপুলটিও আলাদা দেয়ালঘেরা।

গ্রিনটেক রিসোর্টের বিশেষ আকর্ষন হিসাবে রয়েছে পুকুরের কাঠের মাচার ওপর কটেজ। মন চাইলেই পুকুরে নৌকায় ভাসতে ভাসতে ছিপ ফেলতে পারেন অতিথিরা। বড়শি গিললে নিশ্চয়ই আনন্দ সীমা ছাড়াবে। তাছাড়া বড়দের পাশাপাশি ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।


গ্রিনটেক রিসোর্টের আবাসন/ রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা –

এখানে রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে ৭৩টি এসি রুম। বনের পাশের কুইন বেডের রুম গুলোর ভাড়া পড়বে ৪০০০ টাকা এবং ডিলক্স টুইন বেডের রুম গুলোর ভাড়া পড়বে ৫০০০ টাকা। তাছাড়া পানির উপরের কটের রুম গুলোর 


ভাড়া পড়বে ৬০০০ টাকা।

যোগাযোগ – বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন http://greentech-resort.com/ অথবা ফোন করুন 01777 – 737 351,  01777 – 737 363


তাছাড়া আরো আছে একটি অডিটেরিয়াম, দুটি কনফরেন্স রুম, একটি সুমিং পুল, দুটি ডায়নিং হল, আর দুটি পুকুর। সম্পূর্ণ শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এখানে রয়েছে ইনডোর, আউটডোর গেমের সকল সুবিধা। পুরো রিসোর্টটি রয়েছে  ওয়াই ফাই সংযোগ।


আরো পড়ুনঃ  বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পলিটেকনিক কোনটি?


কীভাবে যাবেন –

গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে সোজা ময়মনসিংহ রোড ধরে ৫/৬ কি.মি. যেতে হবে। এরপর যে রাস্তাটা গেছে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টের দিকে (কাপাসিয়ার দিকে) সেটা ধরে আরো ৪ কি.মি. গেলেই দেখবেন ক্যান্টমেন্ট কলেজ। এখান থেকে হাতের বাঁ দিকে ছোট্ট একটা রাস্তা চলে গেছে বনের দিকে। এ রাস্তা ধরে ৫ কি.মি. গেলে পরবে গ্রিনটেক রিসোর্ট।


রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট লিমিটেড


RAJENDRA ECO RESORT LTD, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা রিসোর্ট, যা গাজীপুর জেলার অধীনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কাছে ভবানীপুরে অবস্থিত। মেগা সিটি ঢাকার সাথে এটির খুব সুবিধাজনক যোগাযোগ রয়েছে। রিসর্টগুলির চমৎকার দৃশ্য এবং প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপ দ্বারা আচ্ছাদিত একটি বিশাল এলাকা রয়েছে। কৃত্রিম উপস্থাপনা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এটিকে বিনোদন এবং বিনোদনের জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা করে তোলে।


ওয়েবসাইট =  RAJENDRA ECO RESORT LTD


দ্যা বেজ ক্যাম্প বাংলাদেশ


গাজীপুরের বেস ক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধা

এখানে পাওয়া যাবে প্রাকৃতিক সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার সুযোগ। পুরো এলাকার চারপাশ ঘেরাও করে প্রাচীর তোলা আছে, তাই অনাকাঙ্ক্ষিত অনুপ্রবেশের ভয় নেই। আর ক্যাম্পের ভেতরে নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়মিত টহল চলে। তাদেরকে সঙ্গ দেয় প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড।

অ্যাক্টিভিটিগুলোতে সঠিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য রয়েছেন পুরুষ ও নারী প্রশিক্ষক এবং তারা সকলেই সার্টিফিকেট প্রাপ্ত।

অ্যাক্টিভিটিগুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয় টপ-অফ-লাইন সরঞ্জাম ও গিয়ার। এরপরেও অসাবধানতা বশত যে কোনো সমস্যার জন্য ২৪ ঘন্টা প্রস্তুত থাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান টিম।

সবশেষে, সরাসরি খেত থেকে তোলা টাটকা খাবারের কথা না বললেই নয়, যা প্রস্তুত করা হয় অভিজ্ঞ রাধুনীর মাধ্যমে।

বেস ক্যাম্পে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা

এখানে থাকার জন্য আছে এসি প্রাইভেট বাংলো, ডরমেটরি রুম, প্রাইভেট রুম, মাচা ঘর, সাফারি এবং তাঁবু। তাঁবুর ব্যবস্থাটা করা হয় মূলত সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটির ওপর নির্ভর করে তাঁবুতে থাকার খরচ কম-বেশি হয়।


তাঁবুর প্যাকেজগুলো বিশেষত গ্রুপ ভিত্তিক তথা স্কুল, পরিবার ও কর্পোরেটদের জন্য হয়ে থাকে। ২০ জনের দলে প্রতি দুইজনের জন্য তাবু ভাড়া ২৫০০ টাকা। যারা এসি ও বাথরুমসহ সিঙ্গেল রুম নিতে চান তাদের জন্যও একই খরচ। তবে ডাবল রুমের জন্য ৩৫০০ টাকা ভাড়া। বিশাল লিভিং রুম ও লাউঞ্জসহ ডুপ্লেক্স বাংলোর জন্য গুণতে হবে ১২০০০ টাকা।


এ ছাড়া অ্যাক্টিভিটিগুলোর ওপর নির্ভর করে ক্যাম্পে ঘোরাফেরা ও থাকার খরচ পরিবর্তন হয়।

অ্যাক্টিভিটি ছাড়া সারাদিন ঘোরার জন্য জনপ্রতি খরচ ২২০০ টাকা। এখানে খাবার এবং অন্যান্য পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত। এই প্যাকেজে রাত্রি যাপন করতে হলে প্যাকেজ মূল্য বেড়ে ৩৯৯৫ টাকা হবে। সেক্ষেত্রে রাতের খাবারসহ থাকার জন্য টুইন শেয়ার তাঁবু দেওয়া হবে।


অ্যাক্টিভিটিসহ সারাদিন ক্যাম্পে থাকার জন্য জনপ্রতি খরচ ৩৪৯৫ টাকা। এখানে অ্যাক্টিভিটিসহ খাদ্য এবং অন্যান্য পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত। এই প্যাকেজে রাত্রি যাপন করতে হলে প্যাকেজ মূল্য হবে ৫৪৯৫ টাকা। এতে অন্যান্য পরিষেবার পাশাপাশি রাতের খাবারসহ টুইন শেয়ার তাঁবু যোগ হবে।


এ ছাড়া প্যাকেজগুলো পছন্দমত কাস্টমাইজ করা যেতে পারে, যেমন ২ দিন ১ রাত কিংবা ৩ দিন ২ রাত।

সবগুলো প্যাকেজে ভ্রমণকারীদেরকে আলাদা করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। খাবারের ক্ষেত্রে এখানে সাধারণত দিনে ও রাতে বুফের ব্যবস্থা থাকে। তবে আগে থেকে বলে রাখলে পছন্দমতো খাবারের ব্যবস্থা করা যায়। এখানে খেয়াল রাখতে হবে, ক্যাম্পের ভেতরে বাইরে থেকে খাবার নিয়ে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয় না। তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য বা বেস ক্যাম্পের ব্যাপারে সর্বশেষ খবরাখবর জানতে ঘুরে আসতে পারেন তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে।


ঢাকা থেকে গাজীপুর বেস ক্যাম্পে যাওয়ার উপায়

ঢাকা থেকে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের মাদবপুর এলাকার শফিপুরে দ্য বেস ক্যাম্প বাংলাদেশের অবস্থান। ঢাকার গুলিস্তান থেকে বিভিন্ন উপায়ে গাজীপুর বেস ক্যাম্পে যাওয়া যেতে পারে।

টঙ্গী রুট ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়েতে চলাচলকারী যেকোন বাসে করে গাজীপুর চৌরাস্তায় যাওয়া যায়। অতঃপর বামে জয়দেব-টাঙ্গাইল হাইওয়ে ধরে কিছুদুর এগুলেই পড়বে শফিপুর। সেখান থেকে বামে মোড় নিয়ে মাধবপুর সড়ক ধরে গেলেই পৌঁছা যাবে বেস ক্যাম্পে।


এখানে যাওয়ার আরেকটি উপায় হচ্ছে সাভার হয়ে যাওয়া। এর জন্য নবীনগর-চন্দ্রা রুটে বাইপাইল পেরিয়ে যেতে হবে ডানে জিরানি-কাশিমপুর রোড বরাবর। কিছুদূর গেলেই হাতের বামে পড়বে মাধবপুর রোড।

নিজস্ব গাড়ি বা রিজার্ভ গাড়ি হলে যে কোনো রুটেই খুব সহজেই পৌঁছা যাবে এই বেস ক্যাম্পে।


ওয়েবসাইট

Base Camp

thebasecampbd.com


জল ও জঙ্গলের কাব্য


গাজীপুর জেলার টঙ্গী পুবাইল অবস্থিত জল জঙ্গলের কাব্য (Jol Jongoler Kabbo) রিসোর্ট যা অনেকের কাছে পাইলট বাড়ি হিসেবে পরিচিত। প্রাকৃতিক এক ভূমিকে অবিকৃত রেখে আরো প্রাকৃতিক করা হয়েছে ডিজাইনারের নিপুণ ছোঁয়ায়। জোছনা দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন জল জঙ্গলের কাব্য থেকে। বিলের ওপর জোছনার আলো এক অন্য রকম অনুভূতি দিবে আপনাকে। অল্প খরচে সারাদিন ঘুরে আসার জন্য এর চেয়ে ভাল জায়গা হবে না। প্রাকৃতিক গাছপালা আর শান্তু বিলের পারে বসে কাটিয়ে দিন ১ টা দিন। ঢাকার আসে পাশে একদিনের মধ্যে ঘুরে আসার জন্যে এর থেকে ভালো জায়গা খুব কমই পাবেন। হারিয়ে যাবার আগেই যারা আরো কিছুদিন ছুঁয়ে দেখতে চান অনাবিল সবুজ, মাছের দেখা নাই তবু বড়শি হাতে বসে থাকতে চান নিস্তরঙ্গ দুপুরে তাদের জন্য অপেক্ষায় আছে জল জঙ্গলের কাব্য। এক নিভৃতচারী মানুষের স্বপ্নসাধ বলা যায় এই আয়োজন, ঢাকার অদূরে পূবাইলে ৯০ বিঘা জমির উপর গড়ে উঠেছে একটুকরো গ্রাম। বাঁশ আর পাটখড়ির বেড়া ,উপরে ছনের ছাউনি, সামনে দিগন্ত বিস্তৃত জলের নাচন। এটা তেমন আধুনিক জায়গা নয় কিন্তু পরিচ্ছন্ন এবং গ্রাম-বাংলার একটা ছোয়া আছে এর আদলে। জল জঙ্গলের কাব্য পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে গড়ে তোলা। এর ঘরগুলো বাঁশ-বেড়ার। বেলাই বিল মানে ওয়াটার বডিকে কেন্দ্রীয় চরিত্র রেখে তৈরি করা হয়েছে জল জঙ্গলের কাব্য। নিজস্ব জমির শাক-সবজি ও ধান দিয়ে খাবার তৈরি হয়। বিল থেকে মাছও ধরা হয়। সকালে চালগুঁড়ার রুটির কথা অনেকে মনে রাখেন। রিসোর্ট কর্মীরা পেশাদার, তবে বাণিজ্যিক নয়।


খরচ

এখানে জনপ্রতি নেয়া হয় ৩০০০ টাকা নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার সহ। খরচটা একটু বেশী মনে হতে পারে। তবে খাবার বহরা দেখলে তা আর মনে হবে না। সারাদিনের জন্যে ১৫০০ টাকা জনপ্রতি (সকালের সাস্তা, দুপুরের খাবার আর বিকেলে স্ন্যাক্স)। শিশু (৫-১০ বছর), কাজের লোক ও ড্রাইভার – ৬০০ টাকা জনপ্রতি।


যোগাযোগ

ফোন নম্বর – ০১৯১৯৭৮২২৪৫ (মি: কামরুল) অথবা ০১৯১৯৭৮২২৪৫


খাবার

জল জংগলের কাব্য এর খাবারের মেনুগুলো দারুন – ভাত, পোলাও, চালতা দিয়ে ডাল, মুরগির মাংশ, রুই মাছ, গুড়া মাছ, তেতুল দিয়ে কচুমুখি, আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা, ঘন ডাল আরো বেশ কটি আইটেম।


সকালের নাস্তায় থাকে চিতই পিঠা, গুড়, লুচি, মাংশ, ভাজি, চা, মুড়ি।


দুপুরের খাবারে থাকে ১০/১২ রকম দেশী আইটেম। মোটা চালের ভাত, পোলাও, মুরগির ঝোল, ছোট মাছ আর টক দিয়ে কচুমুখির ঝোল, দেশী রুই মাছ, ৩ রকমের ডাল, কয়েক রকমের ভর্তা এবং সবজি।


প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও 


ঢাকার একটি ঐতিহাসিক পাঁচ তারকা হোটেল। দেশের অন্যতম প্রাচীন এই হোটেলের মালিক বাংলাদেশ সরকার এবং হোটেলটি পরিচালনা করে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্যান প্যাসিফিক হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস। রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় ৮ একর জমির ওপর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও অবস্থিত। 


বাংলাদেশি প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে হোটেলটিতে দুই জনের থাকা। ভাড়ায় ক্যাফে বাজারের বুফে নাশতা, সুইমিং পুল ব্যবহারের সুযোগ, উচ্চগতির ওয়াইফাই ও পাঁচতারকা সেবা অন্তর্ভুক্ত। ডিলাক্স রুমের ভাড়া ১২ হাজার ১৫০ টাকা থেকে শুরু।


আরো পড়ুনঃ  অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম ও মাথার চুলের পরিচর্যা।


প্রথম পুরস্কার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সৌজন্যে ঢাকা-দুবাই রুটের টিকিট। দ্বিতীয় পুরস্কার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের এক্সিকিউটিভ স্যুটে একরাত থাকার সুযোগ। এছাড়া তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী প্রিমিয়ার রুমে একরাত থাকতে পারবেন। প্রতিটি পুরস্কার দুই জনের জন্য। সোনারগাঁও ঢাকা হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘কাম ফ্লাইট উইথ মি মাই ভ্যালেন্টাইন’ শীর্ষক আয়োজন শুরু হয়েছে গত ১০ জানুয়ারি। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এখানে বাংলাদেশি প্যাকেজ নিলে র‌্যাফেল ড্র’তে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে।


Welcome to Pan Pacific Sonargaon Dhaka


লা রিভেরিয়া রিসোর্ট


শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত এই রিসোর্টে খুব সহজেই পূর্বাচলের ৩০০ ফিট রাস্তা ধরে চলে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে এই রিসোর্টে যেতে সময় লাগবে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা। উডেন কটেজ আর স্বচ্ছ সুইমিং পুলের জন্য ঘুরে আসতে পারেন এ রিসোর্ট থেকে।


লা রিভেরিয়া রিসোর্ট। ছবি: লা রিভেরিয়া রিসোর্টের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

ডে লং ট্রিপ থেকে শুরু করে শুধু রাত্রিযাপন অথবা ২৪ ঘণ্টার প্যাকেজ সবই আছে। তবে আগে থেকেই বুকিং করে নেওয়া ভালো। ডে লং প্যাকেজে খরচ জনপ্রতি ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা আর ১ দিনের জন্য উডেন কটেজ বুকিং দিতে লাগবে ৭ হাজার ৫০০ থেকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। যোগাযোগ: ০১৮১০১১১৪২


উপসংহার 


আপনি যদি রিসোর্টগুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য চান বা কোন বিশেষ অভিজ্ঞতার সন্ধান করছেন, আমি সাহায্য করতে পারি। প্রতিটি রিসোর্টের নিজস্ব সৌন্দর্য ও সুবিধা রয়েছে, তাই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাচন করা উচিত। কিছু প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞেস করুন!


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url